Directive Principles of State Policy (DPSP)
By Sri Dipayan Ganguly , WBCS Gr A
১৯৪৫ সালে সাপ্রু বাবুর রিপোর্টে দু ধরণের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছিল— Continue Reading Directive Principles of State Policy (DPSP)
১) যেগুলি কোর্টে তোলা যাবে
২) যেগুলি কোর্টে তোলা যাবে না
যেগুলি কোর্টে তোলা যাবে সেইগুলি হয়ে গেল মৌলিক অধিকার, অর্থাৎ Part 3 । এবং যেগুলি উকিল পায়নি বলে কোর্টে উঠতে পারল না, সেইগুলি হয়ে গেল Part 4, অর্থাৎ নির্দেশমূলক নীতি।
তা এই নির্দেশমূলক নীতি আদতে কি জিনিস?
এইগুলি হল নাগরিকদের সেই অধিকার যার দাবীতে সে কোর্টে উঠতে পারবে না। কানা পোলার নাম পদ্মলোচন। নাগরিকদের যেমন মৌলিক কর্তব্য, তেমনি এইগুলি হল নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের কর্তব্য।
তাহলে নীতি বলছে কেন? এই নীতি মেনেই সরকার সমস্ত আইন কানুনের খসরা তৈরি করবে। এটি হয় কিনা তোমরাই জানো।
ধারা অনুযায়ী এই নীতির কিছু ব্যাখ্যা —
৩৮-৫১ নং ধারায় এই নীতির বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রথমেই আসে Social, Political and Economic Justice এর কথা (৩৮), এটি দিয়েই তো শুরুটা করতে হবে, বাকি বেড়ালগুলি তো ধীরে ধীরে ঝোলা থেকে বেরোবে। রাষ্ট্রের না কি কর্তব্য আয়, সুযোগসুবিধার বৈষম্য হাটানো [৩৮(২) নং এ এইরকম কমিউনিজমের কথা বলা হয়েছে]
বৈষম্য হাটাতে তো রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে। স্ত্রী পুরুষ সমান কাজের জন্য সমান টাকা পেয়েছেন কি না দেখতে হবে। মানুষের সুস্বাস্থ্য বজায় আছে কি না দেখতে হবে (৩৯)।
খেতে পড়তে পাওয়ার পরে ঝামেলায় জড়ালে আইনি সুবিধা মাগনা যাতে দেওয়া যায় সেটিও দেখার কর্তব্য রয়েছে (৩৯ক)
দেশে তো গ্রাম প্রচুর। আর উপরের সবকটা সুবিধা দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের ব্যবস্থা করতে হবে যে (৪০)
কেজোদের রুজি রুটির ব্যবস্থা তো করে দেওয়া হল। তবে যারা কেজো নয় তাদের রুজি রুটির কি হবে ? বেকার ও বুড়োদের জন্য টাকা ও স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করতে হবে তো (৪১)। এটি না করলে Welfare State এর কি মানে হল।
যাদের রুজি রুটির ব্যবস্থা করলে তারা যাতে কাজটি ঠিকমত করতে পারে সেটি কি দেখবে? এটিও রাষ্ট্রকেই দেখতে হবে, After all আমাদের মাই বাপ। মহিলা কর্মচারীদের
maternity relief পর্যন্ত এর আওতাভুক্ত (৪২)
শুধু কাজ দিলেই তো হবে না। মানুষ যাতে কাজ করে উপযুক্ত ও ঠিকঠাক মাইনে পায় এবং তাদের যাতে বউ বাচ্চা নিয়ে আমোদ আহ্লাদের সুযোগ থাকে সেটিও দেখতে হবে। অর্থাৎ Maslow’s hierarchy of needs এর মতন — খেতে পেলে শুতে চায় (৪৩)
কর্মচারীরা যাতে কাজের জায়গায় নাক গলিয়ে নিজেরাই নিজেদের মালিক মনে করতে পারে সেটিও দেখতে হব (৪৩ক)
মজুরেরা যদি নিজেদের মালিক মনে করতে পারে তাহলে একে অপরকে সাহায্য করে সমবায় সমিতি নিজের খেয়াল খুশি মতন চালাতে পারবে না কি?( ৪৩ খ)
২০১১ এর ৯৭ তম সংশোধনীতে এটিই বলা হয়েছে।
শ্রমিক যদি মালিক হয়, তাহলে সব জায়গাতেই আইন এক হওয়া উচিত। অর্থাৎ মুড়ি মিছরি এক দর— Uniform Civil Code (৪৪)
আরে ও দাদু। Uniform Civil Code নিয়ে পরে ভাববেন, আমরা শিশুরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি না কি? ৬ বছর অবধি ICDS এ গুঁড়ো দুধের ব্যবস্থা কে করব? (৪৫)
বাহ, শিশুরাও নিজেদেরটা বুঝে নিল। তাহলে আমরাও (SCs, STs, weaker sections) বা বাদ যাই কেন? শোষণ থেকে আমাদের কে বাঁচাবে? বলো “জয় ভীম” (৪৬)
ওহো, সকলে তো এইবার আলাদা আলাদা করে সুবিধা চাইছে। pK হ্যায় ক্যায়া? তাহলে নেশার জিনিসগুলি শুধুমাত্র ওষুধের জন্য ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে হবে দেখছি (৪৭)
মানুষের জন্য অনেক ভেবেছ, এইবাবে আমাদের জন্য ভাবো। আমাদের তো আধার কার্ডও এসে গেছে । আর আমাদের যে জবাই করা হয় সেই কসাইখানাগুলি বন্ধ করার চেষ্টা কর (৪৮)
শুধু গরু নিয়ে ভাবলে চলবে? বাকিরা ও পরিবেশের সবার জন্য কে ভাববে?(৪৮ক)
বুড়োমানুষ হল, গরু হল, পশুপাখি , গাছপালা হল । অর্থাৎ জীবজন্তু কমপ্লিট, এইবারে জড় পদার্থ। যে সমস্ত অট্টালিকা ও মনুমেন্টগুলি পরবর্তী হরপ্পা হতে চলেছে, সেইগুলি বাঁচাতে হবে না? (৪৯)
এই কাজ যারা করবে তাদের পেছনে যাতে কোর্ট না লাগে, সেটার জন্য ব্যবস্থা করা উচিত— Separation of judiciary from executive (৫০)
দেশের জড় জীবজন্তু সব হল। বাকি তো আর কিছু নেই। এইবারে বিদেশের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তির নামে খবরদারি করতে হবে না? (৫১)
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website