Veto Powers of President of India – ভারতের প্রেসিডেন্টের ভেটো ক্ষমতা।
সহজ ভাষায় পলিটির নোটস
Contributed by Sri Dipayan Ganguly, WBCS Gr A.
Veto powers of President .Continue Reading Veto Powers of President of India
ভোট তো শুনেছি। এই ভেটো আবার কি জিনিস, পেটোর ভাই না কি? হ্যাঁ, অনেকটা তাই।
আম আদমি যেমন ভোট দিয়ে বড় বড় হোতাদের নির্বাচন করে, তেমনই সেই বড় বড় হোতারা ভেটোরূপী পেটো ব্যবহার করে আম আদমির আঁটি সহ ছাল ছাড়িয়ে নুন মাখিয়ে দেয়।
আমাদের রাষ্ট্রপতির এই রকম Veto ক্ষমতা আছে, যেমন অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মায় জাতিপুঞ্জের ৫ টি দেশের রয়েছে। এই Veto ক্ষমতা ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতি আইনসভার ওপর পেটো ছুঁড়তে পারেন।
আমরা জানি আইনসভার যে সমস্ত আইনের খসড়া বা বিল তৈরি করে, তার ওপর রাষ্ট্রপতির সীলমোহর হলে তবেই তা সরকারীভাবে আইন হিসাবে গণ্য হয়।
সংবিধানের ১১১ নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কোনো বিলকে—
১) মঞ্জুর করতে পারেন
২) না মঞ্জুর করতে পারে
৩) অর্থবিল বাদে অন্য সমস্ত বিল আইনসভার কাছে ফেরৎ পাঠাতে পারেন পুনর্বিবেচনার জন্য। তবে পুনর্বিবেচিত হওয়ার পরে রাষ্ট্রপতিকে অটোগ্রাফ দিতেই হবে। না হলে তো গোটা দেশে রাষ্ট্রপতি শাসন শুরু হবে। কারণ তিনি রাষ্ট্রপতি , রাষ্ট্রপিতা নন। আর সংসারে পতি বরাবরের প্রজা।
তা ,অর্থবিলের ক্ষেত্রে এইরকম কেন? Consolidated Fund রাষ্ট্রপতি ভবনের সিন্দুকে থাকে না কি?
সবই তো বুঝলাম। তাই বলে, Veto ব্যবহার করার দরকারটাই বা কি?
আইনসভা যদি দুমদাম একুশে আইন বানাতে চায়, রাষ্ট্রপতি সেটি দেখবে না? কিন্তু অসাংবিধানিক আইনের ওপর কাঁচি চালানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট আছে তো । সে তো বটেই, আইনে কাঁচি চালানোর আগেই আইনসভায় ভগৎ সিংহের মতন পেটো ছোঁড়ার অধিকারটি রাষ্ট্রপতি ছাড়বেন কেন?
তা, এই Veto কয় প্রকার? ভারতে এটি তিন প্রকার—
১) Absolute Veto— অটোগ্রাফ দেব না। ধর কোনো প্রাইভেট মেম্বার, অর্থাৎ মন্ত্রী বাদে অন্য কোনো
MP যদি বিলটির উত্থাপন করেন, তাহলেও রাষ্ট্রপতি পেটো ছুঁড়তে পারেন। পাতি বাংলায় যাকে বলে— বেসরকারী চাকুরে পাত্র তার পাত্রীর হাত চাইতে গেল , আর শ্বশুর বসল বেঁকে।
অথবা লোকসভা ভোটের সময় মন্ত্রীসভার রদবদল হচ্ছে। বিদায়ী কংগ্রেস সরকার বিল পাঠিয়েছে , কিন্তু মসনদে বিজেপি সরকার। তাহলে রাষ্ট্রপতি সেই বিলটি নিয়ে কি করতে পারেন বলে মনে হয়?
২) Suspensive Veto— ফেরৎ পাঠিয়ে দেরি করানো। কোনো বিল যদি রাষ্ট্রপতির মনঃপুত না হয় তাহলে তিনি সেটি আইনসভায় ফেরৎ পাঠাতে পারেন। এইবার আইনসভা সেটির সংশোধন করে অথবা না করে আবার রাষ্ট্রপতির কাছে ফেরৎ পাঠাল। তাহলে কি হবে?
অটোগ্রাফ দিতেই হবে, Sunday Suspense হয়েও হলনা।
৩) Pocket Veto— অর্থাৎ পকেটে পুরে বেমালুম ভুলে যাওয়া। ঠাকুরঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি— এর মতন। আমেরিকার রাষ্ট্রপতিকে ১০ দিনের মধ্যে অটোগ্রাফ দিতে হয়, তবে এই ক্ষেত্রে আমাদের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা আরও বেশি। কোনো সময়সীমা নেই। অটোগ্রাফ তো দেবই না, কলমটাও ফেরৎ দেব না।
তবে সংবিধানের সংশোধনী বিলে এটি করা যাবে না।
আচ্ছা, কেন্দ্রের আইনসভার তো হল, রাজ্য আইনসভার ক্ষেত্রে কি হবে ?
রাজ্যপাল যে সমস্ত বিল রাষ্ট্রপতির জন্য বরাদ্দ করবে, তাতে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিতে পারেন, নাও পারেন। আবার রাজ্যপালকে নির্দেশ দিতে পারেন রাজ্য আইনসভায় বিলটা ফেরৎ পাঠানোর জন্য। তবে রাজ্যের বিলের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সময়ের জুজু দেখানো যাবে না। দেশে এতগুলি রাজ্য, রাষ্ট্রপতি নিজের মর্জিমাফিক কাজ করবেন।
(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website
1 Comment
Sir khub sundar. Economics all concept gulo por por ai bhaba sundar vaba din