কিছু টিপস.....................
আমরা মনে করি, বিসিএস প্রিলিতে পাস করার জন্য ১০টি রেফারেন্স বই পড়ার চেয়ে এক সেট গাইড বা ডাইজেস্ট বা প্রশ্নব্যাংক পড়া বুদ্ধিমানের কাজ। বিসিএস পরীক্ষা জ্ঞানী হওয়ার পরীক্ষা নয়, মার্কস পাওয়ার পরীক্ষা!
আপনি অন্যদের সমান পরিশ্রম করবেন, কিন্তু অন্যরা যে সময়ে একটা অপ্রয়োজনীয় কিংবা কম প্রয়োজনীয় জিনিস পড়ে, সে সময়ে আপনি একটা প্রয়োজনীয় টপিক দুইবার রিভিশন দিতে পারবেন কিংবা পড়া হয়নি এ রকম একটা প্রয়োজনীয় বিষয় পড়ে ফেলতে পারবেন। হিসাব করে দেখুন, অন্যদের তুলনায় আপনার কাজের পড়া হচ্ছে অন্তত দ্বিগুণ!
যারা বিসিএস পরীক্ষা দেবেন, প্রস্তুতিপর্বে তাঁদের প্রথমেই পরিবর্তনটা আনতে হবে মাইন্ডসেটে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন, অথচ সেটা ঠিকমতো কাজে লাগছে না। কেন? আপনার প্রস্তুতির ধরন ঠিক নেই। আপনি যা যা পারেন না, তা তা পারা দরকার কি না, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি দরকার হয়, তবে সেসব কিছু কিভাবে পারতে হয়, সেটা নিয়ে ভাবুন। একটা কাগজে লিখে ফেলুন আপনার কোন কোন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
যারা বিসিএস ক্যাডার হতে পারে আর যারা পারে না, তাদের মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি নয়। তিন জায়গায় পার্থক্য আছে বলে মনে হয়।
এক. প্রস্তুতি নেওয়ার ধরনে।
দুই. পরীক্ষা দেওয়ার ধরনে।
তিন. ভাগ্যে।
আপনি তৃতীয়টায় বিশ্বাস করেন না? আচ্ছা ঠিক আছে, বিসিএস পরীক্ষা দিন, বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন।
যেকোনো পরীক্ষায় ভালো করার চারটি বুদ্ধি আছে : পরিশ্রম কী নিয়ে করব, পরিশ্রম কেন করব, পরিশ্রম কিভাবে করব এবং এই তিনটি জেনে-বুঝে কঠোর পরিশ্রম করা। বিসিএস আন্যতম সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ভালো করতে বুদ্ধিমত্তা কিংবা মেধার চেয়ে পরিশ্রমের মূল্য বহু গুণে বেশি। বুদ্ধিমত্তা বড়জোর আপনি কিভাবে ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন, সেটা ঠিক করে দিতে পারে। কিন্তু আসল কাজটাই হলো পরিশ্রমের।
প্রতিটি পরীক্ষায়ই কিছু কিছু দিক থাকে, যেগুলো নিয়ে কেউ-ই আগে থেকে কিছু বলতে পারে না। ওই ব্যাপারগুলো যে যত সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবে, তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। আপনাকে কোনো বিষয়েই অনেক পণ্ডিত হতে হবে না। যেটা করতে হবে সেটা হলো, সব বিষয়েরই বিভিন্ন বেসিক ভালোভাবে জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে যত বেশি জেনে নিতে পারবে, প্রতিযোগিতায় সে তত বেশি এগিয়ে থাকবে।
প্রতিদিনই পড়তে বসুন। দু-একদিন পড়া বাদ যেতে পারে, সেটাকে পরের দিন বেশি পড়ে পুষিয়ে নিন। বিসিএস পরীক্ষা মৌসুমি পড়ুয়াদের জন্য নয়। পড়ার সময় অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বাদ দিয়ে পড়বেন। কোন কোন বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয়? এটা বোঝার জন্য অনেক অনেক বেশি করে প্রশ্নের ধরন নিয়ে পড়াশোনা করুন। বিসিএস পরীক্ষা বেশি জানার পরীক্ষা নয়; বরং যা দরকার তা জানার পরীক্ষা। সব কিছু পড়লে পণ্ডিত হবেন, বুঝেশুনে পড়লে ক্যাডার হবেন। পছন্দ আপনার!
প্রচুর প্রচুর প্রশ্ন পড়ুন। গাইড বইয়ে, প্রশ্নব্যাংকে, মডেল টেস্টের গাইডে, যেখানেই প্রশ্ন পান না কেন। বিসিএস, দুই-তিনটা জব সল্যুশন কিনে পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নগুলো (সম্ভব হলে, অন্তত ২৫০-৩০০ সেট) বুঝে বুঝে সলভ করে ফেলুন। দাগিয়ে দাগিয়ে রিভিশন দেবেন অন্তত দুই-তিনবার। চারটি নতুন রেফারেন্স বই পড়ার চেয়েও দুটি গাইড বই রিভিশন দেওয়া অনেক বেশি কাজের।
আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন কত সময় পড়াশোনা করবেন, সেটা ঠিক করে নিন। অসুস্থ হয়ে না পড়লে কমানো যাবে না—এটাই প্রতিজ্ঞা । এতে যে লাভটি হয়, শেষ মুহৃর্তের বাড়তি চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারা।
কোচিং সেন্টারের বিষয়ে পরামর্শ হলো, কোচিং সেন্টারে যাওয়া যাবে যদি আপনি ওদের সব কথাকেই অন্ধভাবে বিশ্বাস না করেন। আপনাকেই ঠিক করতে হবে, আপনার কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। (WBCSMadeEasy র সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ৯৬৭৪৪৯৩৬৭৩) গ্রুপ স্টাডি করা কতটুকু দরকার? এটা আপনার অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। আমার নিজের এই অভ্যাস ছিল না। প্রথমবারের বিসিএস হয় না? কে বলেছে? অসংখ্য নজির আছে। পদ্ধতিগতভাবে পড়াশোনা করে যান, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, জয় আপনার হবেই হবে!